লকডাউনের মধ‍্যেই মুরগি বাচ্ছা বিলিকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক বর্ধমান ২ ব্লকের নবস্থা ২ এলাকায়

10th April 2020 বর্ধমান
লকডাউনের মধ‍্যেই মুরগি বাচ্ছা বিলিকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক বর্ধমান ২ ব্লকের নবস্থা ২ এলাকায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : লকডাউনের মধ‍্যেই মুরগির বাচ্ছা বিলিকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক বর্ধমান ২ ব্লকের নবস্থা ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের খারগ্ৰাম এলাকায় । পঞ্চায়েত প্রধান সহ সদস‍্যদের সম্পূর্ন অন্ধকারে রেখে মুরগির বাচ্ছা বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং পঞ্চায়েত প্রধান মালা মন্ডল । এদিন সকাল ৮ টা থেকে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জোড়ো হন মুরগির বাচ্ছা নেওয়ার জন‍্য । বেলা সাড়ে ১২ টার পর মুরগির গাড়ি এসে হাজির হতেই ক্ষোভ শুরু হয় । পাঁচটি করে মুরগি দেওয়ার পরিবর্তে তিনটি করে মুরগি দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা । ক্ষোভের আঁচ বুঝতে পেরে গাড়ি নিয়ে চলে যান গাড়ির চালক । এসময় ই এলাকায় হাজির হন পঞ্চায়েত প্রধান । তাকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ । মুরগি বিলির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি । এমনকি তিনি এও জানিয়েছেন , বহুদিন ধরে তাকে অন্ধকারে রেখে কাজ হচ্ছে । রাজনীতি করা হচ্ছে । পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ হলেও তিনি কিছুই জানতে পারছেন না । তাকে জানানোও হচ্ছে না বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন প্রধান মালা মন্ডল । মুরগির বাচ্ছা বিলি করা হলেও কে বা কারা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের খবর দিল তা জানেন না তিনি । বিষয়টি সম্পর্কে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে বা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিকের কাছেও জানতে চেয়ে জানতে পারেননি প্রধান মালা মন্ডল । এমনটাই বক্তব‍্য স্বয়ং প্রধানের । তবে এ বিষয়ে সম্পূর্ন ভিন্ন বক্তব‍্য জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিক প্রবীর পাঠক । তিনি জানিয়েছেন , প্রধানের অভিযোগ সঠিক নয় । তিনি সব ই জানতেন । তিনিই নাকি মহিলাদের জড়ো করেছেন এমনকি মিডিয়াকেও খবর দিয়েছেন । তাঁর অন্ধকারে থাকার কোনো ব‍্যাপার ই নেই । বাড়ি বাড়িই মহিলাদের মুরগির বাচ্ছা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । মুরগির বাচ্ছা গুলোকে বড় করেন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই । ২৮ দিন পর এই বাচ্ছা গুলোকেই তুলে দেওয়া হয় স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর হাতে । কিন্তু লকডাউনের জেরে যোগাযোগ ব‍্যবস্থায় সমস‍্যা । এই বাচ্ছা গুলোর বয়স ৪৫ দিন হয়ে গেছে । খাবার ও ঠিক মত পাওয়া যাচ্ছিলো না । বিলি করতে গিয়ে দেখা যায় কিছু বাচ্ছা মারা গেছে । তাই আর বিলি করা হয় নি । এমনটাই জানিয়েছেন প্রবীর পাঠক । মুরগির বাচ্ছা বিলিকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক নবস্থা ২ এলাকায় ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।